উচ্চমাধ্যমিক একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত হতে বাংলা অনুবাদ সাজেশন্ (Sanskrit to Bengali) এছাড়াও বি.এ.পাস কোর্স ও অনার্স কোর্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ ।
সংস্কৃত হতে বাংলা অনুবাদ – সংস্কৃত টু বাংলা – বাংলা ভাষায় অনুবাদ করো – সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ – সংস্কৃত হতে বাংলা অনুবাদ করো class 11
সংস্কৃত হতে বাংলা অনুবাদ
1.কস্মিংশ্চিৎ নগরে একঃ বিদ্বান্ পরন্তু দীনঃ বিপ্রঃ বসতি স্ম । তস্য পত্নী অতীব ভীষণা রমণী আসীৎ । ভার্যায়াঃ ভয়েন তস্য গৃহস্য নিকটবর্তিনিং বৃক্ষে স্থিতঃ কশ্চিৎ প্রেতঃ বনং পলায়িতঃ । ব্রাহ্মণঃ অপি ভার্যায়াঃ ভয়েন গৃহং পরিত্যজ্য দেশান্তরং প্রস্থিতঃ । দুঃখেন মার্গে গচ্ছতা তেন প্রেতস্য দর্শনং প্রাপ্তম্ ।
উত্তরঃ- কোনো এক নগরে বিদ্বান কিন্তু দরিদ্র এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তাঁর স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত ভয়ংকরী নারী । স্ত্রীর ভয়ে তাঁর গৃহের নিকটবর্তী বৃক্ষে অবস্থানকারী কোনো এক ভূতও বনে পালিয়ে গিয়েছিল। ব্রাহ্মণও স্ত্রীর ভয়ে গৃহ ত্যাগ করে দেশান্তরে যাত্রা করেছিলেন। দুঃখে যেতে যেতে পথে তাঁর সঙ্গে ভূতটির সাক্ষাৎ হল
2.কৌরবপাণ্ডয়োঃ যুদ্ধে যদা বীরঃ অর্জুনঃ কুরুক্ষেত্রং গত্বা দৃষ্টবান্ যত্ বিপক্ষীয়াঃ সর্বে তস্য এবং আত্মীয়াঃ, এবং চ আত্মীয়ান্ বিরুদ্ধ এব তেন যুদ্ধং কর্তব্যং তদা সঃ অতীব পীড়িতঃ নিরুস্থাহ চ অভবৎ। রথে এব গাণ্ডীবং ক্ষিপ্তা সঃ “যুদ্ধং ন কর্তব্যম্” ইতি নিশ্চিত্য উপবিষ্টবান্, তদা অর্জুনস্য সারথিঃ ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণঃ অর্জুনায় যান উপদেশান্ অযচ্ছৎ তে উপদেশাঃ এব “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা” ইতি নাম্না প্ৰসিদ্ধাঃ।
উত্তরঃ- কৌরব-পাণ্ডবের যুদ্ধে যখন বীর অর্জুন কুরুক্ষেত্রে গিয়ে দেখলেন যে সকল বিপক্ষীয় তাঁরই আত্মীয়, এবং সেই আত্মীয়দের বিরুদ্ধেই তাঁকে যুদ্ধ করতে হবে, তখন তিনি খুব পীড়িত এবং নিরুৎসাহ হলেন। রথেই গাণ্ডীবকে নিক্ষেপ করে তিনি “যুদ্ধ করা উচিত নয়” – এটা স্থির করে উপবেশন করলেন, তখন অর্জুনের সারথি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যে উপদেশগুলি দিয়েছিলেন সেই উপদেশগুলিই “শ্রীমদভগবদ্গীতা” এই নামে প্রসিদ্ধ হয়।
3.একস্মিন্ অরণ্যে একঃ যতিঃ নিবসতি স্ম। স প্রতিদিনং সমীপস্থে গ্রামে ভিক্ষাটনায় গচ্ছতি স্ম। গ্রামীণঃ সহৃদয়াঃ আসন্।তে পর্যাপ্তভিক্ষাং যচ্ছন্তি স্ম। যতিঃ মধ্যাহ্নে ভিক্ষাং স্বীকৃত্য অরণ্যং প্রতিনিবর্ততে স্ম।
উত্তরঃ- এক সময় অরণ্যে এক সাধু বাস করত। সে প্রতিদিন নিকটস্থ গ্রামে ভিক্ষার জন্য গমন করত। গ্রামবাসীরা সহৃদয় ছিলেন। তাঁরা পর্যাপ্ত ভিক্ষা দিতেন। সাধু মধ্যাহ্নে ভিক্ষা নিয়ে অরণ্যে ফিরে আসতেন।
4.অহং মম পিত্রা সহ বিপণিং গতবান্। তত্র বহুবিধাঃ শাকাঃ লভ্যন্তে। বিপণ্যাং বহবঃ জনাঃ শাকবিক্রয়ে শাকক্রয়ে চ রতাঃ। অহং বিস্মিতঃ সন্ সর্বং পশ্যন্ আসম্। সহসা কশ্চন মম পৃষ্ঠে হস্তং স্থাপিতবান্।
উত্তরঃ-আমি আমার বাবার সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে বহুবিধ শাক পাওয়া যাচ্ছিল। বাজারে বহু ব্যক্তি শাক বিক্রয় এবং শাক ক্রয়ে ব্যস্ত ছিল। আমি সকলকে বিস্মিত হয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন আমার পিঠে হাত রাখল।
5.একস্মিন্ বনে একঃ সিংহঃ বসতি। স প্রতিদিনং বহূন্ পশূন্ হন্তি। একদা পশূনাং সম্মেলনম্ অভবৎ। সর্বে পশবঃ সিংহাৎ রক্ষণস্য উপায়ম্ অচিস্তয়ন্। অন্তে শশকঃ উপায়ম্ উক্তবান্।
উত্তরঃ- এক বনে এক সিংহ বাস করত। সে প্রতিদিন বহু পশুকে হত্যা করে। একদিন পশুদের একটা সম্মেলন হল। সকল পশু সিংহের হাত থেকে রক্ষণের উপায় চিন্তা করেছিল। শেষে খরগোশ একটা উপায় বলল।
6.একস্মিন্ রাজ্যে কশ্চন কৃষকঃ বসতি। স একদা হলেন ভূমিং কর্ষন একাং পেটিকাং প্রাপ্তবান্। স পেটিকাং গৃহং নীতবান্। মহতা প্রয়াসেন স পেটিকাম্ উদ্ঘাটিতবান্। পেটিকা শূন্যা আসীৎ।
উত্তরঃ- এক রাজ্যে কোনো এক কৃষক বাস করত। সে একদিন লাঙল দিয়ে মাটি কর্ষণ করার সময় একটা বাক্স পেল। সে সেই বাক্সকে ঘরে নিয়ে গেল। অনেক কষ্টে সে বাক্সটা খুলল। কিন্তু বাক্সে কিছু ছিল না।
7.গঙ্গাদত্তঃ ইতি ভেকানাং রাজা আসীৎ।স আত্মীয়ৈঃ বঞ্চিতঃ দুঃখেন রাজ্যং ত্যক্ত্বা একং কূপং প্রবিষ্টবান্। একদ্যুঃ স কূপস্য নিকটে একং সৰ্পং দৃষ্টবান্। সৰ্পস্য নাম আসীৎ প্রিয়দর্শনঃ ইতি। গঙ্গাদত্তঃ রাজ্যপ্রাপ্তয়ে সর্পস্য সাহায্যম্ ঐচ্ছৎ।
উত্তরঃ- গঙ্গাদত্ত নামে ব্যাঙেদের রাজা ছিল। সেআত্মীয়দের দ্বারা বঞ্চিত হয়ে দুঃখে রাজ্য ত্যাগ করে একটি কূপে প্রবেশ করেছিল। একদিন সে কূপের কাছে একটা সাপ দেখতে পেল। সাপের নাম ছিল প্রিয়দর্শন। গঙ্গাদত্ত রাজ্য প্রাপ্তির জন্য সাপের সাহায্য চেয়েছিল।
8.অহং রাজপথঃ। দীর্ঘঃ সুপ্তঃ অজগরঃ ইব অহং পতিতঃ ভবামি। মম শুল্কে বক্ষসি এবং শ্যামলং তৃণম্ অপি ন জায়তে। মম উপরি জনাঃ পদক্ষেপং কৃত্বা গচ্ছন্তি। সর্বদা অহং পদশব্দান্ এব শৃণোমি।
উত্তরঃ- আমি রাজপথ। দীর্ঘ ঘুমন্ত অজগরের মতো আমি পতিত হয়ে পড়ে আছি। আমার শুষ্ক বক্ষে একটি সবুজ ঘাসও জন্মায় না। আমার উপরে লোকেরা পা মাড়িয়ে চলে যায়। সর্বদা আমি পায়ের শব্দ শুনতে পাই।
9.অস্তি ভাগীরথীতীরে গৃধ্রকূটনাম্নি পর্বতে মহান্ পর্কটীবৃক্ষঃ। তস্য কোটরে দৈবদুর্বিপাকাদ্ গলিত-নখ-নয়নো জরদ্গবনামা গৃধ্রঃ প্রতিবসতি। অথ কৃপয়া তজ্জীবনায় তদ্বৃক্ষ-বাসিনঃ পক্ষিণঃ স্বাহারাৎ কিঞিৎ কিঞিদুদ্ধৃত্য দদতি। তেনাসৌ জীবতি।শাবকানাং রক্ষণং করোতি। অথ কদাচিদ্দীর্ঘকর্ণনামা মার্জারঃ পক্ষিশাবকান্ ভক্ষয়িতুং তত্রাগতঃ । ততস্তমায়ান্তং দৃষ্ট্বা পক্ষিশাবকৈঃ ভয়াৰ্তৈঃ কোলাহলঃ কৃতঃ ।
উত্তরঃ- ভাগীরথী তীরে গৃধ্রকূট নামক পর্বতে বিশাল পাকুড়গাছ ছিল। তার কোটরে দৈবদুর্বিপাকবশত গলিত নখ ও নয়নবিশিষ্ট জরদ্গব নামে এক শুকনি বাস করত। তারপর অনুগ্রহহেতু তার জীবনের জন্য সেই বৃক্ষে বসবাসকারী পাখিরা নিজেদের আহার থেকে কিছু কিছু তুলে দিত। তারপর কোনো একদিন দীর্ঘকর্ণ নামে এক বিড়াল পাখির বাচ্চাদের খেতে সেখানে এলো। তারপর তাকে আসতে দেখে ভয়ার্ত পাখির বাচ্চাগুলি কোলাহল করতে লাগল।
10.অস্তি দাক্ষিণাত্যে জনপদে মহিলারোপ্যং নাম নগরম্। তত্র অমরশক্তিনাম রাজা বভূব। তস্য ত্রয়ঃ পুত্রাঃ পরমদুর্মেধসো বসুশক্তিরুগ্রশক্তিরনেকশক্তিশ্চেতি নামানো বভূবুঃ । অথ রাজা তান্ শাস্ত্রবিমুখানালোক্য সচিবানায় প্রোবাচ – “ভোঃ! জ্ঞাতমেতদ্ ভবদ্ভিঃ যন্মমৈতে পুত্রাঃ শাস্ত্রবিমুখা বিবেকরহিতাশ্চ। তদেতান্ পশ্যতো মে মহদপি রাজ্যং ন সৌখ্যম্ আবহতি।”1
উত্তরঃ- দাক্ষিণাত্য জনপদে (দেশে) মহিলারোপ্য নামে এক নগর ছিল। সেখানে অমরশক্তি নামে এক রাজা ছিলেন। বসুশক্তি, উগ্রশক্তি এবং অনেকশক্তি নামে তাঁর অত্যন্ত জড়বুদ্ধিসম্পন্ন তিনটি পুত্র ছিল। তারপর রাজা তাদের শাস্ত্রবিমুখ দেখে মন্ত্রীদের ডেকে বললেন “ওহে, এ কথা আপনারা জানেন – যে আমার এই ছেলেরা শাস্ত্রবিমুখ এবং বিবেকশূন্য। তাই এদের দেখে আমার বিশাল রাজ্যও সুখ দিচ্ছে না।”
11.একস্মিন্ অরণ্যে একঃ শৃগালঃ আসীৎ । তস্য নাম আসীৎ চণ্ডরবঃ । ক্ষুৎকাতর অসৌ শৃগাল একদা নগরমধ্যে প্রাবিশৎ । তদা নগরস্য অন্যে কুক্কুরাঃ তীক্ষ্ণৈঃ দন্তং তাং দংশন্তি স্ম । স চ শৃগালঃ প্রাণভয়াৎ সমীপে বিদ্যমানস্য রজকস্য গৃহং প্রাবিশৎ ।
উত্তরঃ- কোনো এক অরণ্যে এক শৃগাল বাস করত। তার নাম ছিল চণ্ডরব। ক্ষুধায় পীড়িত ওই শৃগাল একসময় নগরমধ্যে প্রবেশ করেছিল। সেই নগরের অন্যান্য কুকুরগুলি তীক্ষ্ণ দাঁত দ্বারা তাকে দংশন করেছিল। সেই শৃগাল প্রাণভয়ে নিকটে বিদ্যমান এক রজকের গৃহে প্রবেশ করেছিল।
12.শরীরম্ আদ্যং খলু ধর্মসাধনম্ । সুস্থশরীরং বিনা জীবনযাত্রা ন সম্ভবতি । শরীরচর্চা বিনা শরীরং নীরোগং সুস্থং চ ন ভবতঃ । এতদর্থং সম্প্রতি বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা বিষয়ে বিশেষাবধানং দীয়তে । পাঠ্যক্রমে চ শরীরচর্চা অন্তর্ভুক্তা জাতা।
উত্তরঃ- শরীর হল ধর্মসাধনের মূল। সুস্থ শরীর ব্যতীত প্রাণধারণ সম্ভব নয়। শরীরচর্চা ব্যতীত শরীরকে নীরোগ এবং সুস্থ রাখা অসম্ভব। তাই বর্তমানে বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যক্রমে শরীরচর্চা পাঠ্যবিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ।
13. কস্মিংশ্চিদ্ অরণ্যে মদোৎকটঃ ইতি সিংহঃ বসতি স্ম। একঃ বৃকঃ, একঃ শৃগালঃ, একঃ কাকঃ চ তস্য সেবকাঃ আসন্। একদ্যুঃ তে একম্ উষ্ট্রম্ অপশ্যন্। মদোৎকটঃ তং বিচিত্ৰং পশুং দৃষ্ট্বা তস্য বিষয়ে জ্ঞাতুম্ ঐচ্ছৎ । তে ত্রয়ঃ উষ্ট্রং সিংহস্য সমীপে অনয়ন্। তদা তৈঃ জ্ঞাতং যৎ তস্য উষ্ট্রস্য নাম ক্রদনকঃ ইতি। স একস্য সার্থবাহস্য ভারবাহকঃ। মার্গং বিস্মৃত্য সঃ অরণ্যং প্রবিষ্টঃ।
উত্তরঃ- কোনো এক অরণ্যে মদোৎকট নামে সিংহ বাস করত। এক নেকড়ে বাঘ, এক শিয়াল এবং এক কাক তার ভৃত্য ছিল। একদিন তারা এক উটকে দেখতে পেল। মদোৎকট সেই বিচিত্র পশুকে দেখে তার বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। সেই তিনজন (ভৃত্য) উটকে সিংহের কাছে নিয়ে এল। তখন তারা জানল যে সেই উটের নাম ক্রদনক। সে এক সার্থবাহের ভারবাহক। পথ ভুলে সে বনে প্রবেশ করেছে।
14.নীলেন্দুঃ প্রত্যহং প্রাতঃ চতুর্বাদনে উত্তিষ্ঠতি। আবাল্যাৎ তস্য অয়ম্ অভ্যাসঃ। প্রাতঃ উত্থায় স হস্তপাদৌ প্রক্ষালয়তি। শীতকালে অপি স শীতলেন জলেন মুখং প্রক্ষালয়তি। প্রত্যহং প্রাতঃ উত্থায় এবং লগুড়ং হস্তে ধৃত্বা রেল্ নিস্থানং গচ্ছতি। ততঃ সংবাদপত্রাণি স্বীকৃত্য গৃহেষু বিতরতি। কদাচিৎ শুনকাঃ তস্য পৃষ্টতঃ অধাবন্। অতঃ স হস্তে লগুড়ং ধরতি। তস্য গৃহে মাতা, পিতা, ভগিনী চ বর্তন্তে ।
উত্তরঃ- নীলেন্দু প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে ওঠে। বাল্যকাল থেকে তার এটি অভ্যাস। ভোরে উঠে সে হাত-পা ধোয়। শীতকালেও সে ঠান্ডা জলে মুখ ধোয়। প্রতিদিন ভোরে উঠে একটা লাঠি হাতে নিয়ে রেলস্টেশনে যায়। তারপর সংবাদপত্রগুলি সংগ্রহ করে বাড়িতে বাড়িতে বিতরণ করে। কখনও কুকুরেরা পিছন থেকে তাড়া করে। সেইজন্য সে হাতে লাঠি রাখে। তার ঘরে মা, বাবা এবং বোন থাকে।
15.কশ্চন শৃগালঃ রণভূমিং গতঃ। স ক্ষুধয়া পীড়িতঃ আসীৎ, রণভূমৌ তেন কশ্চন বিকটধ্বনিঃ শ্ৰুতঃ। স ভয়েন পলায়িতুম্ আরভত। কিন্তু কিঞ্চিদ্ দূরং গত্বা স পুনঃ প্রত্যাগতঃ। তত্স্য বিকটধ্বনেঃ মূলং জ্ঞাতুং স উৎসুকঃ অভবৎ। রণভূমৌ অন্বিষ্য স একাং ঢক্কাম্ অপশ্যৎ। তস্য উপরি বৃক্ষাৎ জলং পততি স্ম। তেন ধ্বনিঃ উৎপন্নাঃ। তস্য ভয়ং দূরীভূতম্।
উত্তরঃ- কোনো এক শৃগাল যুদ্ধভূমিতে গিয়েছিল। সে ক্ষুধায় পীড়িত ছিল, যুদ্ধক্ষেত্রে সে কোনো এক বিকট শব্দ শুনতে পেল। (তখন) সে ভয়ে পালিয়ে যেতে লাগল। কিন্তু কিছু দূরে গিয়ে সে পুনরায় ফিরে এল। সেই বিকট ধ্বনির মূল (কারণ) জানতে সে উৎসুক হল। যুদ্ধক্ষেত্রে সে খোঁজ করে একটি ঢাক দেখতে পেল। সেই ঢাকের উপরে গাছ থেকে জল পড়ছিল। তার থেকে (বিকট) ধ্বনি হচ্ছিল। (তখন) তার ভয় দূর হল ।
16.অস্তি মন্দারনাম্নি পর্বতে দুর্দাস্তো নাম সিংহঃ। সচ একদা পশূনাং বধং কুর্বন্নাস্তে। ততঃ সর্বৈঃ পশুভিঃ মিলিত্বা স সিংহো বিজ্ঞপ্তঃ মৃগেন্দ্র কিমর্থমেকদা বহুপশুঘাতঃ ক্রিয়তে। যদি প্রসাদো ভবতি তদা বয়মেব ভবদাহারার্থং প্রত্যহম্ একৈকং পশুমুপঢৌকয়ামঃ। ততঃ সিংহেনোক্তম্ যদ্যেতদভিমতম্ ভবতাং তৰ্হি ভবতু তৎ। ততঃ প্রভৃতি একৈকং পশুং ভক্ষয়ন্নাস্তে।
উত্তরঃ- মন্দার পর্বতে দুর্দান্ত নামে এক সিংহ বাস করত। সে সর্বদাই পশুবধ করত। তখন সব পশু মিলে তাকে জানাল পশুরাজ, আপনি (প্রতিদিন) একসঙ্গে এত পশুবধ করেন কেন? যদি আপনি অনুগ্রহ করেন তবে আমরাই আপনার আহারের জন্য প্রতিদিন একটি করে পশু উপহার হিসাবে পাঠাতে পারি। তখন সিংহ বলল – যদি তোমাদের এটাই অভিমত হয় তবে তাই হোক। সেইদিন থেকে এক এক করে পশু সে (সিংহ) খেত।
17.অস্তি কস্মিংশ্চিৎ সমুদ্রোপকণ্ঠে মহান্ জম্বুপাদপঃ সদাফলঃ। তত্র চ রক্তমুখো নাম বানরঃ প্রতিবসতি স্ম। তত্র চ তস্য তরোরধঃ কদাচিৎ করালমুখো নাম মকরঃ সমুদ্রসলিলান্নিষ্ক্রম্য সুকোমলবালুকাসনাথে তীরোপান্তে নিবিষ্টঃ । ততশ্চ রক্তমুখেন স প্রোক্তঃ – ভোঃ! ভবান্ অভ্যাগতোঽতিথিঃ। তদ্ ভক্ষয়তু ময়া দত্তানি অমৃতকল্পানি জম্বুফলানি ।
উত্তরঃ- কোনো এক সমুদ্রের তীরে সর্বদা ফলদায়ী এক বিরাট জাম গাছ ছিল। সেখানে রক্তমুখ নামে এক বানর বাস করত। সেই গাছের নীচে কোনো একদিন করালমুখ নামে এক কুমির সমুদ্রের জল থেকে বেরিয়ে অতি নরম বালুকাযুক্ত তীরের কাছে এসেছিল। তারপর রক্তমুখ তাকে বলল – আপনি আমার অভ্যাগত অতিথি। তাই আমার দেওয়া অমৃততুল্য জামফলগুলি খান।
18.কস্মিংশ্চিত্তরৌ বায়সদম্পতী নিবসতঃ। তয়োশ্চ অপত্যানি তরুকোটরাবস্থিতেন কৃষ্ণসর্পেণ খাদিতানি। ততঃ পুনর্গর্ভবতী বায়সী বায়সমাহ – “স্বামিন্! ত্যজ্যতাময়ং তরুঃ। অত্র যাবৎ কৃষ্ণসর্পস্তাবদাবয়োঃ সন্ততিঃ কদাচিদপি ন জীবিষ্যতি।” যতঃ “দুষ্টা ভার্যা শঠং মিত্ৰং ভৃত্যশ্চোত্তরদায়কঃ। সসর্পে চ গৃহে বাসো মৃত্যুরেব ন সংশয়ঃ।।”
উত্তরঃ- কোনো এক গাছে কাকদম্পতী বাস করত। তাদের দুজনের বাচ্চাগুলিকে গাছের কোটরে থাকা কেউটে সাপ খেয়ে ফেলত। তারপর আবার গর্ভবতী কাকপত্নী পুরুষ কাককে বলল “হে স্বামী! এই গাছটি ছেড়ে দাও। এখানে যতদিন কেউটে সাপ থাকবে, ততদিন আমাদের সন্তান কখনোই বাঁচবে না।” কারণ – “দুষ্ট স্ত্রী, শঠ বন্ধু, প্রভুর কথার উত্তরদানকারী চাকর এবং সাপ আছে এমন ঘরে বাস করলে মৃত্যু ঘটবেই ।”