সংস্কৃত শ্লোক

ভারতীয় স্তবক হিসেবে সংস্কৃত শ্লোককে বিবেচনা করা যেতে পারে। শিক্ষা বিষয়ক, হিতোপদেশ থেকে, বন্ধু বিষয়ক, নীতিমূলক, বিখ্যাত সংস্কৃত শ্লোক ও বাংলা অর্থ।

বাংলা অর্থসহ সংস্কৃত শ্লোক

সংস্কৃত শ্লোককে ভারতীয় স্তবক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ, শাস্ত্রীয় সংস্কৃত কবিতায় যে কোনো ছন্দের তুলনায় সংস্কৃত শ্লোক অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। এই শ্লোক সাধারণত ভগবদ্গীতা, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ, স্মৃতির পাশাপাশি সুশ্রুত সংহিতা ও চরক সংহিতাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণে বলা যায়, মহাভারতের অধ্যায়ে অনেক শ্লোক ছন্দ বৈশিষ্ট্যযুক্ত, কিন্তু স্তবকের ৯৫% শ্লোক অনুষ্টুপ্ ধরনের, আর বাকি অধিকাংশই ত্রিষ্টুপ্।

প্রথাগত ধারণা হল ভালোবাসায় আবদ্ধ দুটি পাখির মধ্যে একটিকে শিকারী কর্তৃক বিদ্ধ হতে দেখে শোকে আচ্ছন্ন হয়ে রামায়ণের রচয়িতা বাল্মীকি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্তবকের শ্লোক রূপটি রচনা করেন। এজন্য তাকে বলা হয় আদিকবি।

ভারতের শাস্ত্রীয় ভাষা সংস্কৃতে ব্যবহৃত একপ্রকার কাব্যিক রূপ হল শ্লোক। ১৬ পদাংশ বা ৩২ পদাংশের চারটি পদ বা চতুর্থাংশ পদ নিয়ে গঠিত হয় এই শ্লোক। মনিয়ার উইলিয়ামসের মতে, শ্লোক হল যে কোনো পদ বা স্তবক, প্রবাদ, উক্তি; কিন্তু বিশেষ করে এটি ৩২ পদাংশ শ্লোককে বোঝায়, যা বৈদিক অনুষ্টুপ ছন্দ থেকে উদ্ভূত।

পৌরাণিক বৈদিক গ্রন্থে অনুষ্টুপ পাওয়া যায়, কিন্তু এর উপস্থিতি গৌণ। ঋগ্বেদে ত্রিষ্টুপ এবং গায়ত্রী ছন্দ প্রাধান্য পায়। পাঠ্যে শ্লোকের প্রধান উপস্থিতি চিহ্নিতকারী যে পাঠ্যটি তা সম্ভবত উত্তর-বৈদিক।

সংস্কৃত শ্লোক সাধারণত ভারতীয় শাস্ত্রীয় ভাষা সংস্কৃতে ব্যবহৃত একপ্রকার কাব্যিক রূপ। এই শ্লোককে ভারতীয় শ্লোক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ, স্মৃতি, বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ সহ অনেক রচনায় শ্লোকের ব্যবহার পাওয়া যায়।

সংস্কৃত শ্লোক সম্পর্কে আরোও কিছু অজানা তথ্য

  • (১) শ্লোক স্বাভাবিক আকারে চারটি পদ বা ত্রৈমাসিক পদ নিয়ে গঠিত হয়।
  • (২) শ্লোকের প্রতিটি পদে আটটি সিলেবল থাকে।
  • (৩) শ্লোক হলো ধ্রুপদী সংস্কৃত কবিতার সবচেয়ে সাধারণ ফর্ম।
  • (৪) সংস্কৃত সাহিত্যে শ্লোক অতি গুরুত্বপূর্ণ।
  • (৫) শ্লোক হল ভারতীয় মহাকাব্য এবং ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দু।

একটি উদাহরণ সংস্কৃত শ্লোকের

  • তমসো মা জ्योतिर्गমय। मृत्युयोर्मा अमृतं गमय।