সংস্কৃত অধিকরণ কারক – সপ্তমী বিভক্তির সকল নিয়ম সহজ – সরল এবং আধুনিক পদ্ধতিতে উদাহরণ সহযোগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল ।
Table of Contents
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ কারক বলে । এই কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
সংস্কৃত অধিকরণকারক – সপ্তমী বিভক্তির নিয়মগুলি সহজভাবে বাংলায় সূত্রের সহ তুলে ধরা হল । এগুলি তোমরা ভালোভাবে তৈরী করলে অধিকরণকারক – সপ্তমী বিভক্তি যে কোনো উদাহরণ তোমরা অনায়াসেই করতে পারবে ।
SLST Sanskrit Mock Test (বিস্তারিত জানতে Call করুণ 7029418471)
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – আধারোহধিকরণম্ ।
অর্থাৎ, ব্যাক্যের ক্রিয়া পদ যাকে আশ্রয় করে থাকে তাই আধার বা অধিকরণ । এই কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
ক্রিয়ার আধার তিন প্রকার । যথা –
(i)অভিব্যাপক – তিলেষু তৈলম্ অস্তি ।
(ii)ঐকদেশিক – ব্যাঘ্রঃ বনে বসতি ।
(iii)বৈষয়িক – বিদ্যায়াম্ অনুরাগঃ ।
সপ্তমী বিভক্তি
অবচ্ছেদে সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – অবচ্ছেদে সপ্তমী ।
শরীরের কোনো অঙ্গকে পৃথক্ করে গ্রহণ করার নামই হল অবচ্ছেদ । এই অবচ্ছেদে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – সা করে ধৃত্বা মাম্ অবদৎ ।
বাক্যটির অর্থ হল – সে (স্ত্রীলোক) হাতে ধরে আমাকে বলেছিল । এখানে হাত শরীরের একটি অঙ্গ এবং এই হাতকে পৃথক্ করে গ্রহণ করা বোঝাচ্ছে । তাই ‘করে’ পদটিতে অবচ্ছেদে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে ।
অতিরিক্ত উদাহরণ – মাং গলে বৃদ্ধা নয় ।
ভাবে সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – যস্য চ ভাবেন ভাবলক্ষণম্ ।
একটি ক্রিয়ার কাল দ্বারা অপর একটি ক্রিয়ার কাল নিরূপিত হলে যার উপর পরের ক্রিয়া নির্ভর করে, সেই ক্রিয়ার কর্তায় বা কর্মে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – সূর্যে উদিতে পদ্মং প্রকাশতে ।
অনাদরে ষষ্ঠী বা সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – ষষ্ঠী চানাদরে ।
ভাবে সপ্তমীর স্থলে অনাদর বা উপেক্ষা বোঝালে যাকে অনাদর করা হয় তাতে ষষ্ঠী বা সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – রুদতঃ পুত্রস্য মাতা জগাম । রুদতি পুত্রে মাতা জগাম ।
নির্ধারণে ষষ্ঠী বা সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – যতশ্চ নির্ধারণম্ ।
এক জাতীয় অনেকের মধ্যে থেকে জাতি, গুণ, ক্রিয়া, সংজ্ঞা বা নাম দ্বারা একটিকে বেছে নেওয়া বা পৃথক্ করাকেই বলা হয় নির্ধারণ । যা থেকে নির্ধারণ করা হয় তাতে ষষ্ঠী বা সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – (i) কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ । (ii) কবীনাং কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ ।
নিমিত্তার্থে সপ্তমী বিভক্তি
সূত্র – নিমিত্তাৎ কর্মযোগে ।
যা পাবার জন্য কোনও ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়, তা হল নিমিত্তবোধক শব্দ বা হেতু । কিন্তু এখানে নিমিত্ত শব্দের অর্থ হল ক্রিয়ার ফল । ক্রিয়ার কর্মের সাথে সাক্ষাৎ সম্বন্ধ থাকলে নিমিত্তবাচক শব্দে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – চর্মণি দ্বীপিনং হন্তি ।
প্রশংসা অর্থে সাধু ও নিপুণ শব্দের যোগে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
সূত্র – সাধুনিপুণাভ্যাম্ অর্চায়াম্ অপ্রতেঃ ।
প্রশংসা করা অর্থে সাধু ও নিপুণ শব্দের যোগে সপ্তমী বিভক্তি হয় ।
উদাহরণ – স গণিতে সাধুঃ ।
আপনি যদি করণ কারক ছাড়া অন্য করক বিভক্তি গুলি দেখতে চান তা হলে নিম্নে লিংক গুলিতে ক্লিক করুণ
- কর্তৃ কারক ও প্রথমা বিভক্তি
- কর্ম কারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি
- করণ কারক ও তৃতীয়া বিভক্তি
- সম্প্রদান কারক ও চতুর্থী বিভক্তি
- অপাদান কারক ও পঞ্চমী বিভক্তি
- ষষ্ঠী বিভক্তি