মহাকবি ভাস রচিত দূতবাক্য নাটক -এর শ্রেণি, উৎস, নায়ক-নায়িকার নাম, নামকরণ, বিষয়বস্তু, দূতবাক্য নাটকের বিশেষ উক্তি সম্পর্কে আলোচনা।
Table of Contents
ভাসের দূতবাক্য নাটক
নাট্যগ্রন্থ | দূতবাক্য নাটক |
রচয়িতা | ভাস |
উৎস | মহাভারতের উদ্যোগ পর্ব |
অঙ্ক | ১ টি |
শ্রেণি | ‘ব্যায়োগ’ শ্রেণির দৃশ্যকাব্য |
উপজীব্য | মহাভারত (উদ্যোগ পর্ব) |
নায়ক | শ্রীকৃষ্ণ |
বিশেষ বৈশিষ্ট্য | নাটকটিতে কোনো স্ত্রীচরিত্র নেই |
ভাসের দূতবাক্য নাটকের শ্রেণি
‘ব্যায়োগ’ শ্রেণির দৃশ্যকাব্য।
ভাসের দূতবাক্য নাটকটির উৎস
মহাভারতের উদ্যোগ পর্ব’ অবলম্বনে নাটকটি রচিত।
ভাসের দূতবাক্য নাটকটির নায়ক-নায়িকা
শ্রীকৃষ্ণ নায়ক। নাটকটি স্ত্রীচরিত্র বিহীন।
ভাসের দূতবাক্য নাটকটির নামকরণ
শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের দূতরূপে কৌরবদের সভায় গিয়ে শান্তি প্রস্তাব রাখেন। এই কারণেই নাটকটির এরূপ নামকরণ হয়েছে।
ভাসের দূতবাক্য নাটকটির বিষয়বস্তু
কৌরব পাণ্ডবদের মহারণ শুরুর পূর্বে উভয় পক্ষের বিবাদ মেটানোর উদ্দেশ্যে পাণ্ডবগণের দৌত্য স্বীকার করে শ্রীকৃষ্ণ আসেন দুর্যোধনের রাজসভায়। প্রহরীর মুখে ‘পুরুষোত্তম আগমন করেছেন’ এভাবে শ্রীকৃষ্ণের আগমনবার্তা শুনে দুর্যোধন ‘কংসভৃত্য দামোদর’ বলে শ্রীকৃষ্ণের কুৎসা করেন। নানাভাবে তাঁকে অপমান করে শ্রীকৃষ্ণের উপস্থিতির সাথে সাথেই দুর্যোধন সিংহাসন থেকে পড়ে গেলে তা অশুভ লক্ষণ বলে সুচিত হয়। বিবাদ মিটিয়ে পাণ্ডবদের প্রাপ্য রাজ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব রাখলে দুর্যোধন তা দিতে অস্বীকার করেন। তাদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। বলপূর্বক শ্রীকৃষ্ণকে বন্দী করার চেষ্টা করলে তিনি বিশ্বরূপদর্শন করান। ধৃতরাষ্ট্র শ্রীকৃষ্ণের পদতলে পড়ে তাঁকে শান্ত করেন।
ভাসের দূতবাক্য নাটকের বিশেষ উক্তি
“বিনাযুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী” দেবার কথা ভাসের দূতবাক্য নাটকে আছে।
আরোও পড়ুন
ভাসের লেখা অন্যান্য নাটকগুলি হল- প্রতিমা, অভিষেক, দূতঘটোৎকচ, কর্ণভার, মধ্যমব্যায়োগ, ঊরুভঙ্গ, পঞ্চরাত্র, বালচরিত, প্রতিজ্ঞাযৌগন্ধরায়ন স্বপ্নবাসবদত্তা, অবিমারক ও চারুদত্ত।
(FAQ) মহাকবি ভাসের লেখা দূতবাক্য নাটক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
দূতবাক্য নাটকটি রচয়িতা হলেন- মহাকবি ভাস।
দূতবাক্য নাটকটির নায়ক হলেন- শ্রীকৃষ্ণ।
দূতবাক্য নাটকটি ‘ব্যায়োগ’ শ্রেণির দৃশ্যকাব্য।