একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ সাজেশন – ২০২৩ (সন্ধিযুক্ত ও বিচ্ছেদ, কারণসহ বিভক্তি নির্ণয়, অব্যয় দিয়ে বাক্য রচনা) Class Xi Sanskrit Grammar Suggestion – 2023.
Table of Contents
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ সাজেশন ২০২৩ (Class Xi Sanskrit Grammar Suggestion 2023)
পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) Syllabus -এর নিরীখে একাদশ শ্রেণীর জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রতিটি Topic থেকে সম্ভাব্য প্রশ্নগুলি উত্তর সহ দেওয়া হল । এগুলি ভালোভাবে তৈরী করলেই এবছর তোমাদের একাদশ শ্রেণীতে ব্যাকরণ থেকে যে প্রশ্নগুলি আসবে সেগুলি Common পেয়ে যাবে ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে সন্ধিযুক্ত সাজেশন ২০২৩
১. অনুমতি + অনুসারেণ = অনুমত্যনুসারেণ ।
২. তথা + এতম্ = তথৈতম্ ।
৩. নৌ + ইকঃ = নাবিকঃ ।
৪. কৃষ্ণ + এহি = কৃষ্ণেহি ।
৫. পিতৃ + আদেশঃ = পিত্রাদেশঃ ।
৬. গো + অনম্ = গবনম্ ।
৭. শীত + ঋতঃ = শীতার্তঃ ।
৮. মহা + ইন্দ্ৰ = মহেন্দ্ৰঃ ।
৯. অনু + এষণম্ = অন্বেষণম্ ।
১১. গতৌ + ইমৌ = গতাবিমৌ ।
১২. প্রভো + এহি = প্রভবেহি ।
১৩. সু + আগতম্ = স্বাগতম্ ।
১৪. নদী + অম্বুঃ = নদ্যম্বুঃ ।
১৫. মাতৃ + উপদেশঃ = মাত্ৰুপদেশঃ ।
১৬. উপ + এহি = উপেহি ।
১৭. প্র + এজতে = প্ৰেজতে ।
১৮. নৈ + অকঃ = নায়কঃ ।
১৮. মনস্ + ঈষা = মনীষা ।
১৯. যদি + অপি = যদ্যপি ।
২০. উপ + এহি = উপেহি ।
২১. প্র + ঊঢ়ঃ = প্রৌঢ়ঃ ।
২২. মধু + ঋতে = মধ্বৃতে ।
২৩. মধু + অরিঃ = মধ্বরিঃ ।
২৪. অতি + আচারঃ = অত্যাচারঃ ।
২৫. দেব + ইন্দ্ৰঃ = দেবেন্দ্রঃ ।
২৬. রবৌ + উদিতে = রবাবুদিতে ।
২৭. গৈ + অকঃ = গায়কঃ ।
২৮. সাধূ + ইমৌ = সাধূ ইমৌ (সন্ধি নিষেধ) ।
২৯. অমী + অশ্বাঃ = অমী অশ্বাঃ (সন্ধি নিষেধ) ।
৩০. কবী + ইমৌ = কবী ইমৌ (সন্ধি নিষেধ) ।
৩১. লতে + এতে = লতে এতে (সন্ধি নিষেধ) ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে সন্ধিবিচ্ছেদ সাজেশন ২০২৩
১. শরচ্চন্দ্রঃ = শরৎ + চন্দ্রঃ ।
২. তস্মিন্নদ্রৌ = তস্মিন্ + অদ্রৌ ।
৩. তন্মাত্রম্ = তৎ + মাত্রম্ ।
৪. বটচ্ছায়া = বট + ছায়া ।
৫. উদ্ধতঃ = উৎ + হতঃ ।
৬. বাঙ্মাত্রম্ = বাক্ + মাত্রম্ ।
৭. সংস্কৃতম্ = সম্ + কৃতম্ ।
৮. প্রাঙ্মুখম্ = প্রাক্ + মুখম্ ।
৯. চলংষ্টিটিভঃ = চলন্ + টিট্রিভঃ ।
১০. চিন্ময়ম্ = চিৎ + ময়ম্ ।
১১. দিগন্তঃ = দিক্ + অন্তঃ ।
১২. যাচেতেহর্থম্ = যাচেতে + অর্থম্ ।
১৩. তদ্ধিতম্ = তৎ + হিতম্ ।
১৪. মৃন্ময়ঃ = মৃৎ + ময়ঃ ।
১৫. তাংস্তান্ = তান্ + তান্ ।
১৬. বৃক্ষচ্ছায়া = বৃক্ষ + ছায়া ।
১৭. প্রাগেব = প্রাক্ + এব ।
১৮. তচ্ছিবঃ = তৎ + শিবঃ ।
১৯. চক্ষুরোগঃ = চক্ষুঃ + রোগঃ ।
২০. দুষ্করম্ = দুঃ + করম্ ।
২১. সূর্য উদেতি = সূর্যঃ + উদেতি ।
২২. প্রাতারম্যম্ = প্রাতঃ + রম্যম ।
২৩. যজ্ঞবিধেরহহ = যজ্ঞবিধেঃ + অহহ ।
২৪. পিতারক্ষ = পিতঃ + রক্ষ ।
২৫. নীরোগঃ = নিঃ + রোগঃ ।
২৬. নীরবঃ = নিঃ + রবঃ ।
২৭. বিধূরাজতে = বিধুঃ + রাজতে ।
২৮. গীষ্পতিঃ = গীঃ + পতিঃ ।
২৯. প্রাতারম্যতে = প্রাতঃ + রম্যতে ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে অব্যয় দিয়ে বাক্যরচনা সাজেশন ২০২৩
১. অলম্ – (বারণ করা অর্থে) বিবাদেন অলম্ ।
২. অথ কিম্ – (হ্যাঁ) অথ কিম্, অহং রামস্য ভ্রাতা।
৩. অদ্য – (আজ) অদ্য মম জন্মদিবসঃ ।
৪. অধুনা – (এখন) অধুনা প্রাতঃ ।
৫. অন্তরেণ – (ব্যতীত) শ্রমম্ অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি ।
৬. অন্তিকে – (দূরে বা নিকটে) গ্রামস্য অন্তিকে মন্দিরম্ অস্তি ।
৭. অত্র – (এখানে) অত্র মন্দিরম্ অস্তি।
৮. অকস্মাৎ – (হঠাৎ) অকস্মাৎ সঃ মৃতঃ ।
৯. অভিতঃ – (সামনে) গৃহম্ অভিতঃ ক্রীড়াক্ষেত্রম্ অস্তি ।
১০. আরাৎ – (দূরে অথবা নিকটে) বনাৎ আরাৎ বৃক্ষঃ অস্তি ।
১১. ঋতে – (ছাড়া) জ্ঞানাৎ ঋতে বিদ্যা ন ভবতি।
১২. সমীপে – (নিকটে) বিদ্যালয়স্য সমীপে উদ্যানং অস্তি ।
১৩. সহসা – (হঠাৎ) সহসা কিমপি কর্ম ন কর্তব্যম্।
১৪. সহ – (সঙ্গে) মাত্রা সহ পুত্ৰঃ গচ্ছতি ।
১৫. সকৃৎ – (একবার) সকৃৎ অহং শ্রীক্ষেত্রং অগচ্ছম্ ।
১৬. সর্বত্র – (সবজায়গায়) সর্বত্র ঈশ্বরঃ অস্তি ।
১৭. শনৈঃ – (ধীরে ধীরে) শনৈঃ পবনঃ বাতি ।
১৮. বহিঃ – (বাইরে) গৃহাৎ বহিঃ মা গচ্ছ ।
১৯. বিনা – (ব্যতীত) জ্ঞানং বিনা বৃথা জীবনম্ ।
২০. দিবা – (দিনের বেলা) দিবা গগনে সূর্যঃ ভাতি।
২১. নক্তম্ – (রাত্রে) নক্তং দধি ন ভূঞ্জীত ।
২২. নীচৈঃ – (নীচে) বৃক্ষাৎ নীচৈঃ পত্ৰানি পতন্তি ।
২৩. নিকষা – (নিকটে) গ্রামং নিকষা নদী প্রবহতি।
২৪. হ্যঃ – (গতকাল) হ্যঃ রমা রামায়ণং পঠিতবতী।
২৫. পরিতঃ – (সবদিকে) পিপীলিকা মোদকং পরিতঃ বিচরতি ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে পরিনিষ্ঠিতরূপ সাজেশন ২০২৩
১. ব্রূ + ক্তিন্ = উক্তি ।
২. স্বপ্ + ক্তিন্ = সুপ্তি ।
৩. ভূ + তব্য = ভবিতব্য ।
৪. কৃ + তব্য = কর্তব্য ।
৫. হন্ + শতৃ = ঘ্নৎ ।
৬. গম্ + শতৃ = গচ্ছৎ ।
৭. অস্ + শতৃ = সৎ ।
৮. পঠ্ + শতৃ = পঠৎ ।
৯. উপ-স্থা + ক্ত = উপতিষ্ঠ ।
১০. গৈ + ক্ত = গীত ।
১১. ব্রূ + ক্ত = উক্ত ।
১২. পচ্ + ক্ত = পক্ব ।
১৩. ছিদ্ + ক্ত = ছিন্ন ।
১৪. প্রচ্ছ্ + ক্ত = পৃষ্ট ।
১৫. আস্ + শানচ্ = আসীন ।
১৬. বৃৎ + শানচ্ = বর্তমান ।
১৭. বৃধ্ + শানচ্ = বর্ধমান ।
১৮. ধা + শানচ্ = দধান ।
১৯. গ্রহ্ + শানচ্ = গৃহ্ণান্ ।
২০. শাস্ + ক্যপ্ = শিষ্য ।
২১. ভৃ + ক্যপ্ = ভৃত্য ।
২২. দৃশ্ + তুমুন্ = দ্রষ্টুম্ ।
২৩. সহ + তুমুন্ = সহিতুম্ ।
২৪. গম্ + তুমুন্ = গন্তুম্ ।
২৫. কৃ + তুমুন্ = কর্তুম্ ।
২৬. গম্ + ক্ত্বাচ্ = গত্বা ।
২৭. ভূ + ক্ত্বাচ্ = ভূত্বা ।
২৮. ধা + ক্ত্বাচ্ = হিত্বা ।
২৯. শ্বাস্ + ক্ত্বাচ্ = শিষ্ট্বা ।
৩০. দৃশ্ + ক্ত্বাচ্ = দৃষ্ট্বা ।
৩১. বস্ + ক্ত্বাচ্ = উষিত্বা ।
৩২. আ-গম্ + ল্যপ্ = আগম্য।
৩৩. উপ-নী + ল্যপ্ = উপনীয় ।
৩৪. প্র-নম্ + ল্যপ্ = প্রণম্য ।
৩৫. প্র-আপ্ + ল্যপ্ = প্রাপ্য ।
৩৬. প্র- দা + ল্যপ্ = প্রদায় ।
৩৭. প্র-ব্রূ + ল্যপ্ = প্রোচ্য ।
৩৮. ব্রূ + ক্তবতু = উক্তবৎ ।
৩৯. জ্ঞা + ক্তবতু = জ্ঞাতবৎ ।
৪০. কৃ + ক্তবতু = কৃতবৎ ।
৪১. কৃ + ণ্যৎ = কার্য ।
৪২. পঠ্ + ণ্যৎ = পাঠ্য ।
৪৩. বুধ্ + ণ্যৎ = বোধ্য ।
৪৪. লভ্ + অনীয় = লভনীয় ।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে কারক বিভক্তি সাজেশন ২০২৩
ছাত্রেণ পুস্তকং পঠ্যতে ।
উত্তরঃ- এখানে ‘পুস্তকম্’ পদটিতে উক্তকর্মে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে ।
গবাং কৃষ্ণা বহুক্ষীরা ।
উত্তরঃ- এখানে ‘গবাম্’ পদটিতে নির্ধারণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে ।
ভয়াৎ কম্পতে মূষিকঃ ।
উত্তরঃ- এখানে ‘ ভয়াৎ’ পদটিতে হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে।
হরিঃ বৈকুণ্ঠে বসতি ।
উত্তরঃ- এখানে ‘ বৈকুণ্ঠে’ পদটিতে “আধারোহধিকরণম্” সূত্রানুসারে অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে ।
শিশুনা চন্দ্রঃ দৃশ্যতে ।
উত্তরঃ- এখানে ‘চন্দ্রঃ’ পদটিতে উক্তকর্মে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে ।
ভিক্ষুকঃ পাদেন খঞ্জঃ ।
উত্তরঃ- এখানে ‘পাদেন’ পদটিতে অঙ্গবিকারে তৃতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
সর্পাৎ বিভেতি বালকঃ ।
উত্তরঃ- এখানে ‘সর্পাৎ’ পদটিতে ভয়ার্থক ‘ভী’ ধাতুর প্রয়োগে অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে ।
বৃক্ষাৎ ফলং পততি ।
উত্তরঃ- এখানে ‘বৃক্ষাৎ’ পদটিতে “ধ্রুবমপায়েহপাদানম্” সূত্রানুসারে অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে।
গ্রামায় গচ্ছতি কৃষকঃ ।
উত্তরঃ- এখানে ‘গ্রামায়’ পদটিতে চেষ্টা বোঝাতে গমনার্থক ধাতুর প্রয়োগে চতুর্থী বিভক্তি হয়েছে।
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ সাজেশন ২০২২
১. কস্মিংশ্চিৎ নগরে একঃ বিদ্বান্ পরন্তু দীনঃ বিপ্রঃ বসতি স্ম । তস্য পত্নী অতীব ভীষণা রমণী আসীৎ । ভার্যায়াঃ ভয়েন তস্য গৃহস্য নিকটবর্তিনিং বৃক্ষে স্থিতঃ কশ্চিৎ প্রেতঃ বনং পলায়িতঃ । ব্রাহ্মণঃ অপি ভার্যায়াঃ ভয়েন গৃহং পরিত্যজ্য দেশান্তরং প্রস্থিতঃ । দুঃখেন মার্গে গচ্ছতা তেন প্রেতস্য দর্শনং প্রাপ্তম্ । |
উত্তরঃ- কোনো এক নগরে বিদ্বান কিন্তু দরিদ্র এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তাঁর স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত ভয়ংকরী নারী । স্ত্রীর ভয়ে তাঁর গৃহের নিকটবর্তী বৃক্ষে অবস্থানকারী কোনো এক ভূতও বনে পালিয়ে গিয়েছিল। ব্রাহ্মণও স্ত্রীর ভয়ে গৃহ ত্যাগ করে দেশান্তরে যাত্রা করেছিলেন। দুঃখে যেতে যেতে পথে তাঁর সঙ্গে ভূতটির সাক্ষাৎ হল |
2.কৌরবপাণ্ডয়োঃ যুদ্ধে যদা বীরঃ অর্জুনঃ কুরুক্ষেত্রং গত্বা দৃষ্টবান্ যত্ বিপক্ষীয়াঃ সর্বে তস্য এবং আত্মীয়াঃ, এবং চ আত্মীয়ান্ বিরুদ্ধ এব তেন যুদ্ধং কর্তব্যং তদা সঃ অতীব পীড়িতঃ নিরুস্থাহ চ অভবৎ। রথে এব গাণ্ডীবং ক্ষিপ্তা সঃ “যুদ্ধং ন কর্তব্যম্” ইতি নিশ্চিত্য উপবিষ্টবান্, তদা অর্জুনস্য সারথিঃ ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণঃ অর্জুনায় যান উপদেশান্ অযচ্ছৎ তে উপদেশাঃ এব “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা” ইতি নাম্না প্ৰসিদ্ধাঃ। |
উত্তরঃ- কৌরব-পাণ্ডবের যুদ্ধে যখন বীর অর্জুন কুরুক্ষেত্রে গিয়ে দেখলেন যে সকল বিপক্ষীয় তাঁরই আত্মীয়, এবং সেই আত্মীয়দের বিরুদ্ধেই তাঁকে যুদ্ধ করতে হবে, তখন তিনি খুব পীড়িত এবং নিরুৎসাহ হলেন। রথেই গাণ্ডীবকে নিক্ষেপ করে তিনি “যুদ্ধ করা উচিত নয়” – এটা স্থির করে উপবেশন করলেন, তখন অর্জুনের সারথি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যে উপদেশগুলি দিয়েছিলেন সেই উপদেশগুলিই “শ্রীমদভগবদ্গীতা” এই নামে প্রসিদ্ধ হয়। |
3.একস্মিন্ অরণ্যে একঃ যতিঃ নিবসতি স্ম। স প্রতিদিনং সমীপস্থে গ্রামে ভিক্ষাটনায় গচ্ছতি স্ম। গ্রামীণঃ সহৃদয়াঃ আসন্। তে পর্যাপ্তভিক্ষাং যচ্ছন্তি স্ম। যতিঃ মধ্যাহ্নে ভিক্ষাং স্বীকৃত্য অরণ্যং প্রতিনিবর্ততে স্ম। |
উত্তরঃ- এক সময় অরণ্যে এক সাধু বাস করত। সে প্রতিদিন নিকটস্থ গ্রামে ভিক্ষার জন্য গমন করত। গ্রামবাসীরা সহৃদয় ছিলেন। তাঁরা পর্যাপ্ত ভিক্ষা দিতেন। সাধু মধ্যাহ্নে ভিক্ষা নিয়ে অরণ্যে ফিরে আসতেন। |
4.অহং মম পিত্রা সহ বিপণিং গতবান্। তত্র বহুবিধাঃ শাকাঃ লভ্যন্তে। বিপণ্যাং বহবঃ জনাঃ শাকবিক্রয়ে শাকক্রয়ে চ রতাঃ। অহং বিস্মিতঃ সন্ সর্বং পশ্যন্ আসম্। সহসা কশ্চন মম পৃষ্ঠে হস্তং স্থাপিতবান্। |
উত্তরঃ- আমি আমার বাবার সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে বহুবিধ শাক পাওয়া যাচ্ছিল। বাজারে বহু ব্যক্তি শাক বিক্রয় এবং শাক ক্রয়ে ব্যস্ত ছিল। আমি সকলকে বিস্মিত হয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন আমার পিঠে হাত রাখল। |
5.একস্মিন্ বনে একঃ সিংহঃ বসতি। স প্রতিদিনং বহূন্ পশূন্ হন্তি। একদা পশূনাং সম্মেলনম্ অভবৎ। সর্বে পশবঃ সিংহাৎ রক্ষণস্য উপায়ম্ অচিস্তয়ন্। অন্তে শশকঃ উপায়ম্ উক্তবান্। |
উত্তরঃ- এক বনে এক সিংহ বাস করত। সে প্রতিদিন বহু পশুকে হত্যা করে। একদিন পশুদের একটা সম্মেলন হল। সকল পশু সিংহের হাত থেকে রক্ষণের উপায় চিন্তা করেছিল। শেষে খরগোশ একটা উপায় বলল। |
6.একস্মিন্ রাজ্যে কশ্চন কৃষকঃ বসতি। স একদা হলেন ভূমিং কর্ষন একাং পেটিকাং প্রাপ্তবান্। স পেটিকাং গৃহং নীতবান্। মহতা প্রয়াসেন স পেটিকাম্ উদ্ঘাটিতবান্। পেটিকা শূন্যা আসীৎ। |
উত্তরঃ- এক রাজ্যে কোনো এক কৃষক বাস করত। সে একদিন লাঙল দিয়ে মাটি কর্ষণ করার সময় একটা বাক্স পেল। সে সেই বাক্সকে ঘরে নিয়ে গেল। অনেক কষ্টে সে বাক্সটা খুলল। কিন্তু বাক্সে কিছু ছিল না। |
7.গঙ্গাদত্তঃ ইতি ভেকানাং রাজা আসীৎ।স আত্মীয়ৈঃ বঞ্চিতঃ দুঃখেন রাজ্যং ত্যক্ত্বা একং কূপং প্রবিষ্টবান্। একদ্যুঃ স কূপস্য নিকটে একং সৰ্পং দৃষ্টবান্। সৰ্পস্য নাম আসীৎ প্রিয়দর্শনঃ ইতি। গঙ্গাদত্তঃ রাজ্যপ্রাপ্তয়ে সর্পস্য সাহায্যম্ ঐচ্ছৎ। |
উত্তরঃ- গঙ্গাদত্ত নামে ব্যাঙেদের রাজা ছিল। সেআত্মীয়দের দ্বারা বঞ্চিত হয়ে দুঃখে রাজ্য ত্যাগ করে একটি কূপে প্রবেশ করেছিল। একদিন সে কূপের কাছে একটা সাপ দেখতে পেল। সাপের নাম ছিল প্রিয়দর্শন। গঙ্গাদত্ত রাজ্য প্রাপ্তির জন্য সাপের সাহায্য চেয়েছিল। |
8.অহং রাজপথঃ। দীর্ঘঃ সুপ্তঃ অজগরঃ ইব অহং পতিতঃ ভবামি। মম শুল্কে বক্ষসি এবং শ্যামলং তৃণম্ অপি ন জায়তে। মম উপরি জনাঃ পদক্ষেপং কৃত্বা গচ্ছন্তি। সর্বদা অহং পদশব্দান্ এব শৃণোমি। |
উত্তরঃ- আমি রাজপথ। দীর্ঘ ঘুমন্ত অজগরের মতো আমি পতিত হয়ে পড়ে আছি। আমার শুষ্ক বক্ষে একটি সবুজ ঘাসও জন্মায় না। আমার উপরে লোকেরা পা মাড়িয়ে চলে যায়। সর্বদা আমি পায়ের শব্দ শুনতে পাই। |
9. একস্মিন্ অরণ্যে একঃ শৃগালঃ আসীৎ। তস্য নাম আসীৎ চণ্ডরবঃ। ক্ষুৎকাতরঃ অসৌ শৃগালঃ একদা নগর মধ্যে প্রাবিশৎ। তদা নগরস্য অন্যে কুক্কুরাঃ তীক্ষ্ণঃ দন্তৈঃ তং দংশন্তি স্ম। সচ শৃগালঃ প্রাণভয়াৎ সমীপে বিদ্যমানস্য রজকস্য গৃহং প্রাবিশৎ। |
উত্তরঃ- কোনো এক বনে এক শিয়াল বাস করত। তার নাম ছিল চণ্ডরব। খিদেয় কাতর হয়ে সেই শিয়াল একদিন শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। তখন শহরের অন্য কুকুরগুলো তীক্ষ্ণ দাঁত দিয়ে তাকে কামড়ে দিল। আর সে (তখন) প্রাণভয়ে কাছাকাছি এক ধোপার বাড়িতে প্রবেশ করল। |
10. শরীরম্ আদ্যং খলু ধর্মসাধনম্। সুস্থশরীরং বিনা জীবনযাত্রা ন সম্ভবতি। শরীরচর্চাং বিনা শরীরং নীরোগং সুস্থং চ ন ভবতঃ। এতদর্থং সম্প্রতি বিদ্যালয়ে শরীরচর্চাবিষয়ে বিশেষাবধানং দীয়তে। পাঠ্যক্রমে চ শরীরচর্চা অন্তর্ভুক্তা জাতা। |
উত্তরঃ- শরীরই হল ধর্মোপার্জনের প্রথম সহায়ক বস্তু। সুস্থ শরীর ছাড়া জীবনযাত্রা সম্ভব হয় না। শরীরচর্চা ছাড়া শরীর নীরোগ ও সুস্থ হয় না। ন এইজন্য সম্প্রতি স্কুলে শরীরচর্চা বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ন পাঠক্রমে শরীরচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। |